বৃহস্পতিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ০৯:০০
সাধারণ উৎসেও আমিরুল মুমিনিন আলী (আ.)-এর মহিমা স্পষ্ট

হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন আলী মুহাম্মদলু বলেছেন, কোরআন মাজিদে এমন বহু আয়াত রয়েছে, যা আমিরুল মুমিনিন ইমাম আলী (আ.)-এর মর্যাদা ও ফজিলতের কথা উল্লেখ করেছে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: হাওজায়ে ইলমিয়া কোমের এই উস্তাদ বলেন, ইসলামী সূত্রে ইমাম আলী (আ.)-এর মর্যাদা এতই মহান যে খ্রিস্টান লেখক জর্জ জর্দাকও তাঁর মহান চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন এবং এ বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেছেন।

তিনি উল্লেখ করেন,

ইমাম আলী (আ.)-এর ফজিলত ও মর্যাদার বিষয়ে অন্তত ১১১টি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে আয়াতুল বেলায়া (মায়েদা: ৫৫) ও আয়াতুল মুবাহেলা-কে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়। এগুলো এই বিষয়ের অসংখ্য প্রমাণের মধ্যে মাত্র কিছু উদাহরণ।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, কেবল শিয়া নয়, সুন্নি তাফসির ও হাদিসগ্রন্থসহ সাধারণ ইসলামী উৎসগুলোতেও ইমাম আলী (আ.)-এর অসংখ্য গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। মায়েদা সূরার ৫৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে:

إِنَّمَا وَلِیُّکُمُ اللَّهُ وَ رَسُولُهُ وَ الَّذِینَ آمَنُوا الَّذِینَ یُقِیمُونَ الصَّلَاةَ وَ یُؤْتُونَ الزَّکَاةَ وَ هُمْ رَاکِعُونَ

অর্থাৎ, তোমাদের অভিভাবক ও নেতা কেবল আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং সেই মুমিনগণ — যারা নামাজ কায়েম করে এবং রুকুর অবস্থায়ই যাকাত প্রদান করে।

মুফাসসিরদের মতে, এই আয়াত বিশেষভাবে ইমাম আলী (আ.)-কে নির্দেশ করে।

হুজ্জাতুল ইসলাম মুহাম্মদলু আরও বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন —

"যে ব্যক্তি নূহের দৃঢ়তা, আদমের জ্ঞান, মূসার প্রজ্ঞা ও ঈসার ত্যাগ দেখতে চায়, সে যেন আলী ইবনে আবি তালিব (আ.)-এর দিকে তাকায়।"

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha